যেভাবে বায়ার্নের হেক্সা জয়
আদর্শবার্তা ডেস্ক :
১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬ টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুলে বায়ার্ন মিউনিখ। ২৫ বছর পর আবারও ইউরোপ সেরা হবার গৌরব অর্জন করে দলটি। সবশেষ ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাবারিয়ানরা। সাত বছর পর আবারও সুযোগ পেয়েছিল শিরোপায় চুমু দেয়ার। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো মিউনিখের দলটি।
‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০১৯/২০ মৌসুমে ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টের যাত্রা শুরু করেছিল বায়ার্ন। শেষ ষোলতে দুই লেগ মিলিয়ে চেলসির বিরুদ্ধে ৭-১ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে হানসি ফ্লিকের শিষ্যরা। কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ ছিল লিওনেল মেসি নেতৃত্বাধীন বার্সেলোনা। করোনার দাপটে এবারের মৌসুমে এক লেগেই শেষ আটের ম্যাচগুলো আয়োজিত হয়। সবাইকে অবাক করে বার্সাকে গোল বন্যায় ভাসায় বায়ার্ন। ৮-১ গোলে জয় তুলে পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে মাঠে নামে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বার্য়ান। জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় দলকে হারিয়ে সেমিতে আসা লিঁও জায়ান্ট কিলার হিসেবে নিজেদের পরিচিত করে ফেলে। যদিও বাবারিয়ানদের সামনে ৩-০ গোলে হার মানতে হয় ফ্রেঞ্চ দলটিকে।
হেক্সা তথা ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জয়ের আগে বাধা ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি)। ফাইনালে নেইমার-ডি মারিয়া-এমবাপেদের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয়। পর্তুগালের লিসবনে জয় সূচক গোলটি এসেছে ফ্রেঞ্চ উইঙ্গার কিংস্লে কোমানের পা থেকে। শেষ পর্যন্ত শিরেপা উৎসবে মেতে উঠল ম্যানুয়াল নুয়ারের দল।
(সুত্র: আরটিভি নিউজ)।