রাত পোহাবার কত দেরী
:: মিজানুর রহমান মিজান ::
“সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না”। কালের চাকায় পিষ্ট হয়ে অবিরাম গতিতে বর্তমানকে অতীতে, ভবিষ্যতকে বর্তমানে রুপদানের প্রত্যাশায় লোভাতুর দৃষ্টিতে এগিয়ে চলছে। তার ক্লান্তি নেই, নেই বিশ্রামের প্রয়োজন। তার অবস্থান কোথায় কে জানে? সামনের দুর্বার গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষ ও ছুটে চলেছে কামনার তীব্রতা পুরনার্থে। গাছের ফল ঝুলছে একটা দুর্জয় ও দুরন্ত আশার প্রতিক্ষায়। কিন্তু সে কি জানে পরিপূর্ণতার পূর্বেই হয়ত ঢিলে, পাখির আহারে নতুবা মানুষের হাতের স্পর্শে তাকে অকালে বৃন্তচ্যুত হতে হবে, না পরিপূর্ণতার স্বাদ নিয়েই ঝরে পড়বে? সুতরাং “কে এল, কে গেল”, “ কে শৈশব শেষে কৈশোর, যৌবনের উচ্ছ্বলতা কেটে বার্ধক্যে পৌছল, কে ভবের খেলা সাঙ্গ করে পরপারের যাত্রী হয়ে নৌকা ভাসাল, কেহ তীর পেল, কেহ ডুবল, কেহ সাঁতার কেটেই চলেছে”। এ সমস্ত ক্ষুদ্র ব্যাপারে মাথা ঘামাবার অবসর পায় নাই, প্রয়োজন মনে করেনি।তবে যাঁরা সুক্ষ্ণ ব্যক্তি সত্ত্বার উদ্ভাবনায় চিন্তিত, প্রভাবিত। তাঁদের নিয়ে আলোচনা করব না। তাঁরা উহার বহু উর্ধে, অনেক দুরে, নাগালের বাইরে।
আজকের নবজাতক সদ্য ফুটা ফুল।এ মুহুর্তে মধুকর আসছে না মধু সঞ্চয়ে। হয়তো একটু পরে। যখন গন্ধ ছড়িয়ে দেবে, পূর্ণ বিকশিত হবে, এমনি মধুকর শুরু করবে আনাগোনা।শুরু হল ঝগড়া-বিবাদ, দ্বন্ধ, কোলাহল, প্রতিযোগিতা, “ আগে আসলে, আগে পাবেন” নীতির ভিত্তি প্রস্তর। এক ফুটা অতিরিক্ত সঞ্চয়ে অন্যান্যদের বাহবা, বিজয়ের মালা পরিয়ে করতালী ও কৃতজ্ঞভাজন হবার অদম্য স্পৃহা। অন্যদিকে জয়ের আনন্দে আপ্লুত হয়ে আত্মমর্যাদা, অহমিকা, তৃপ্তি ও সুখ্যাতির সরবত পানে উদ্ভাসিত হয়ে উন্নত মস্তকে পাড়াময় ঘুরে বেড়াবে। সে যে একজন বিজয়ী, কৌতুহলী।
জন্মের বছর দু’য়েক পরই অর্থ্যাৎ হৃদয়ঙ্গম করার ক্ষমতাটুকু অর্জন করার সাথে সাথেই পরিচয় ঘটে শিশুর টাকার সাথে।যে ছিল নিষ্পাপ, ধীরে ধীরে হয়ে উঠল লোভাতুর, মরিয়া হয়ে চেষ্টায় লিপ্ত প্রভাব, প্রতিপত্তি, যশ ও আকাঙ্খার। “যত পায়, তত চায়”। এ পাওয়ার শেষ নেই, নেই অবধি। একটি বাসনা পূর্ণ হতে না হতেই হৃদয়ে জেগে উঠে, দেখা দেয় অন্য অভাববোধ বা বাসনা হয় জাগ্রত। অভাব যদিও ক্ষেত্র বিশেষে সাময়িক ভাবে পরিতৃপ্তি সম্ভব, তৃপ্ত হয়েও অধিক না পাওয়ার বেদনায় হিল্লোলিত। অভাব লেগেই আছে। কথায় কাজে স্বার্থ নিহিত। এর ব্যতিক্রম যেন এ ধুলির ধরণী থেকে উধাও। জীবনের সাথে লড়াই করে, জীবন বাজি রেখে জীবিকার্জনে কেউ হল অগ্রসর, কেউ পশ্চাৎপদ।কিন্তু চেষ্টার অন্ত নেই।এপারে না হলে ওপারে।নদীর এপারে না হলে ওপারে তল্লাসী। স্বদেশে না হলে বিদেশে, জলে না হলে স্থলে অনুসন্ধান কাজ চলমান। এ চলার শেষ নেই, আছে গতি দুরন্ত, দুর্বার।
এক বৃদ্ধের সাথে কথা প্রসঙ্গে আলাপ পরিচয়। তার জীবনের সবচেয়ে ট্রাজেডি জানালেন, পিতা যেদিন তাকে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণার নিমিত্তে শুধালেন, “লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে”।সেদিন কথার যথার্থ বুঝিনি, হৃদয়ঙ্গম করার চেষ্টাও করিনি।কিন্তু মনের আয়নায় স্বর্ণাক্ষরে লিখা হয়েছিল কথাটি। ক্ষণে ক্ষণে জাগরিত হত, মনের আনন্দে বলে যেতাম, স্মরণ করতাম। ক্রমান্বয়ে দিনের শেষে রাত্রি, রাত্রির অন্ধকার কেটে আলো বিতরণে দিনের যাত্রা শুরু। সুতরাং আমিও এগিয়ে চলেছি, বয়স বৃদ্ধি হচেছ। মাথায় নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচেছ যদিও তা বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত।একদিন বায়না ধরলাম মা’র সাথে সুন্দর একটা নুতন জামা কিনে দিতে। মা বললেন, একটি কেন, অনেক অনেক দেব, কিনবে?“তাড়াতাড়ি হও বড়, বি.এ , এম.এ পাশ কর”। চাকরী করবে, টাকা আসবে। ঘড়ি, চশমা, দামী স্যুট-কোট কিনবে, সাহেবের মত শহর বন্দর ঘুরবে। দেখবে পৃথিবীর নূতন রুপ।সেদিনই বুঝলাম এ পৃথিবীতে টাকাই সর্বস্ব।টাকা থাকলে বুঝি গাড়ি-ঘোড়া, নামী-দামী জামা প্রত্যেকটা জিনিষই অনায়াসে পাওয়া যাবে।কচি প্রাণে বার বার দোলা দিচ্ছিল, “কবে হবো বড়, কখন বি.এ এম.এ পাশ করবো”।পড়ছি-“ আজকাল আর আমি তো মা ছোট্র খোকা নয়”। লাইনটি পড়তেই মনে পড়ল অনেক কথা, মা আব্বুর কথা। মা’কে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, মা আমি খুব পড়লাম, তো কই বড় হলাম, বি.এ, এম. এ পাশ করলাম নাতো?
মা ধমক দিয়ে জবাব দিলেন পড়, পড়লে জানতে পারবে উত্তর। নিজেই জানতে পারবে, কখন বড় হবে?আলোর পিছনে ছুটলাম আলো ভেবে। বিভিন্ন প্রকার আশা ও কল্পনা হৃদয়ে নিয়ে দিনাতিবহিত করছি। প্রতিটি মুহুর্ত কাটতো উদাস, উদ্বিগ্নতায়। বার বার জেগে উঠত- চাকরী করবো, বেতন পাবো। অনেক অনেক এ প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে আজ বার্ধক্যে পদার্পণ।কিন্তু কি পেলাম? সারা জীবনের শুন্যতা, হাহাকার আজো পূর্ণ হয়নি। হবেও না কখনও এ বোধোদয় হয়েছে। জীবন সায়াহ্নে আজ দাড়িয়ে দেখছি, ভাবছি, নেই নেই ভাব। তথাপি জাগ্রত হৃদয়াঙ্কে শুধু কি করলাম, কি নিয়ে যাবো? পথের সম্ভল হারা। পরকাল চিরন্তন সত্য। তাকে কেউ এড়াতে পারবে না। আমিও না। কিন্তু চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই, নেই তৃপ্তি। আজ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি এর পরিপূর্ণতা মৃত্যুতে। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন সুখী বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। মনে হল বড্ড ক্লান্ত, হাঁপাচ্ছেন।
ক্যামেরায় যখন কোন কিছুর প্রতিকৃতিকে বন্দী করা হয়। প্রতিকৃতিটি তখন বিপরীত রুপে ধরা পড়ে। যদিও পরবর্তীতে সঠিক ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ পায়। বাল্য কালের অনেক ঘটনা, কথা মানুষের স্মৃতি পটে স্মরণ থাকে অধিক দিন। তার ক্রিয়াও অত্যধিক, শিশু সুলভ মনে অনেকক্ষণ হিতে বিপরীত। এক্ষেত্রেও তারই প্রতিফলন নয় কি?অতৃপ্তির বেদনা কখন প্রশমিত হবে?
মানুষ সুখের আশায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো ছড়িয়ে পড়ে। প্রচেষ্ঠা চালায় বিভিন্ন প্রকার কর্মকান্ডের মাধ্যমে। জীবনকে অর্থবহ করে তোলা উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক স্বচ্ছ্বলতার পরবর্তী ধাপই নাকি শান্তি। সুতরাং এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান সময়ে মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। কিন্তু প্রবাসের মোহে আকৃষ্ট হয়ে অনেকে পথে বসেছেন আদম বেপারীর দৌরাত্বে।আদম বেপারী সহজ সরল মানুষের ভিটে মাটি হারা করে সমাজে সৃষ্টি করছে বৈষম্যের।আদম বেপারীর কাঠ খড় শেষে যদিও প্রবাসী নামে আখ্যায়িত। কিন্তু এ প্রবাসে কতটুকু শান্তি পেয়েছেন, তাই জিজ্ঞাস্য?উত্তর সহজেই মেলে প্রবাসীদের জবানবন্দীতে, “টিকেটের খরচ জমবে কবে, আরো কাজ করতে পারলে বাবাকে টাকা পাঠানো যাবে, যে ভুমি থেকে ভালো করে বেঁচে থাকার জন্য বাবা এসেছিলেন, সেখানে আজো যেতে পারেননি শওকত, ভাবে আরো বেশি ওভারটাইম করতে পারলে গড়ে উঠবে পাকা দালান, টিনের চালার বদলে”। উক্তিতে ক্ষোভ আর দু:শ্চিন্তার বহি:প্রকাশ সহজেই অনুমেয়। জীবন বয়ে বেড়ানোর ভারে ক্ষয়িষ্ঞু।তারপরও পিতামাতা, ভাইবোন, স্ত্রী-পুত্রের আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত।প্রবাসে অবস্থানরতাবস্তায় ঘটছে অনেকের ক্ষেত্রে বিয়োগান্তি। শেষ দেখা আর হয়ে উঠছে না। অনেকে বিদায় নিচ্ছেন, “ না দেখার বেদনা হৃদয়ে পুষে”। বিদেশের পাউন্ড, ডলার, রিয়াল হাড় খাটুনী পরিশ্রমের ফসল অর্থ পাঠাচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনদের নিকট। এরও সদব্যবহার হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রে। স্বদেশে অবস্থানরতরা হয়ে উঠেন শ্রম বিমুখ, কাজ করতে নারাজ, লজ্জাবোধ আর অপমানে ভোগেন সর্বক্ষণ।প্রবাসে কিন্তু টাকাটা অর্জন করতে হয় অনেক কষ্টের বিনিময়ে।
এ নাট্যশালায় মানুষ কত আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখে যা নিতান্তই হাস্যকর, রুগ্ন, অপুষ্ট বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন।এক যুগ স্কুলের চৌকিদারী করে রহমত মন্ত্রীর পদ পেতে চায়।টেলিভিশনের পর্দায় দু’পা হেঁটে কলিম উল্লা চিত্র নায়িকাকে বিয়ের লোভ সংবরণ করতে পারে না।৭০ বছরের বৃদ্ধ ছলিম উল্লা পুত্রের ভবিষ্যৎ সুখ শান্তির উজ্জ্বল আলোকবর্তিকার অলিক কল্পনায় সহোদর ভাইয়ের সম্পূর্ণ সম্পত্তি হস্তগত। এ কোন নীতির পরিচয়? উদ্ভট মন মানসিকতার পরিচয় নয় কি?তা না হলে যে সন্তানের জন্য একজনের মুখের গ্রাস কেড়ে নিজে হচ্ছেন চর্বিদার।সে সন্তান কি তার আত্মার মাগফেরাত ও পরকালের সহযাত্রী হবে, কামনা করবে?
আমাদের একটা দুর্নাম আছে, “দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেই না” এটাকে পরিহার করার পন্থা যেন অজানা, অচেনা। অনেক ক্ষেত্রে আঁকড়িয়ে ধরার মন মানসিকতা প্রকাশ পায়, পরিচয় দেই। তবে আমাদের কামনা যেনো তাই না হয় কথায়, কাজে, আচার-আচরণে।দর্জির ফিতার মাপে কাটশাট না থেকে সাহস, দৃঢ়তা ও প্রত্যয়ের গভীর ব্যঞ্জনা নিয়ে অপচেষ্টা রোধে ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্লোগান হয়ে দাড়ায় জীবন সংগ্রামের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহুর্ত। আমাদের চাহিদা ও কর্তব্য পালন করে নিতে চাই। এ বাসনা যেনো হয় হৃদয়ের। শুধু মুখের ভাষা বা প্রকাশ না হয়ে, যেনো প্রকাশ পায় হৃদয়ের গভীর অভিব্যক্তি থেকে সহানুভুতি, সহমর্মিতা, ও ভালবাসার বাস্তবতা। তা না হলে “ আমি কাঁদবো, আমি ঠকবো”।ক্রোধের বা অহমিকার আগুনে জ্বলে, অন্যকে জব্দ করার চাইতে নিজস্ব নির্ভরতা, ধৈর্য, সহনশীলতা অনেক ভালো।কারন ইহার মধ্য দিয়ে অনেকগুলো মুল্যবান ও সুন্দর মুহুর্ত ক্ষতিকর হয়ে যেতে বা দাড়াতে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি এসব লোভ-লালসাকে পরিহার করে নিতে সক্ষম হই, তবে লাভ ছাড়া ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। আমরা আজ, “সুবচন নির্বাসনে” নীতিকে আকড়িয়ে আছি অবস্তা দৃষ্টে তাই পরিলক্ষিত। এটা আমাদের নৈতিক অবক্ষয়, হীনমন্যতা, দুর্বলতার ফসল। মুল লক্ষ্য হারিয়ে গৌণ ফায়দাগুলোকেই মনে করে বসি সর্বস্ব। নিজের দোষেই নষ্ট হচ্ছে সত্যিকারের উদ্দেশ্য, যথার্থ প্রতিদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আধ্যাত্মিক, নৈতিক, সামাজিক ও বৈষয়িক ফায়দা,সরে পড়ছি মুল লক্ষ্য থেকে অনেক দুরে। আমাদের সমাজ জীবনে পদে পদে বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। এসব মুহুর্তে যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন। তথাপি আমরা এসবকে পরিহার করে পরিচয় দেই সংকীর্ণ মনের অবচেতনার। মানব দেহে হৃৎপিন্ডের ভুমিকা কি? সে দেহের শিরা-উপশিরার সাহায্যে রক্ত টেনে নিজের কাছে সংগৃহিত করে আবার তা পরিশুদ্ধ উপায়ে পৌছে দেয় যথাস্থানে। কিন্তু আমরা সংগ্রহ করি সত্য, বিলিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখি না।একটা জীবন্ত ও নব প্রাণ সত্ত্বা হিসেবে গ্রহণ করি, প্রতিদানের তোয়াক্ষা করি না। আর স্বাধিকারের বেলা `Might is right’.ভবিষ্যৎ বংশধরের নিকট ইতিহাস সভ্যতার স্বাক্ষরে ভাষ্কর।মানুষ চায় উন্নতি, প্রতিপত্তি, যশ ও খ্যাতি। এ পদ যাত্রা করে পরবর্তী জীবনের সাক্ষী স্বরুপ।
কিন্তু আমরা ধাবিত হচ্ছি, রেখে যাচ্ছি অম্লান বর্বরতার স্বাক্ষর, স্বজনপ্রীতির উজ্জল প্রমাণ। জ্বি! এ বিশেষ বিশেষণে ভুষিত করবো আমাদের সামাজিকতা ক্ষয়িষ্ঞু জীবনের পদ যাত্রাকে। কারন অবস্তা দৃষ্টে তাই মনে হয় সংখ্যা গরিষ্টতার কারনে।জীব মাত্রই বাসনা থাকে। কিন্তু এ বাসনাকে যদি সৎ, ও সুনীতির পথে পরিচালিত করা যায় তবেই মানব জীবনের চাহিদা পরিপূর্ণতা লাভে সক্ষম। বিপরিতে কালো আঁধারে তলিয়ে এবং আকাশে অন্ধকার মেঘের ঘনঘটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের চরিত্রকে করছি কলুষিত, হারিয়ে যাচ্ছি পাপ পংকিলতায়।তথাপি মনে প্রাণে প্রত্যাশা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজ ব্যবস্তা সময়ের সদব্যবহার মন মানসিকতায় গড়ে উঠুক, আরোগ্য লাভ করে সুস্থ, সুন্দর হয়ে ভরে উঠুক। রাতারাতি বড় লোক হবার নেশা পরিহার করে অগ্রসর হতে পারি এ বাসনাই থাকবে ‘পরিশ্রমের মাধ্যমে সৎপথে থেকে যা আয়, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার দীক্ষায় দীক্ষিত হতে পারি’।
লেখক: পরিচালক চাঁন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার, রাজাগঞ্জ বাজার, বিশ্বনাথ, সিলেট।