প্রচ্ছদ

স্মৃতিতে অনির্বাণ: সাংবাদিক ফাজলে রশীদ

  |  ১৮:০৮, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
www.adarshabarta.com

:: এবিএম সালেহ উদ্দীন ::

ফাজলে রশীদ (১৯৩৮-২০১২) বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। বিশেষ করে, ইংরেজি সাংবাদিকতায় একজন সত্যনিষ্ঠ সাহসী সাংবাদিক। ১৯৩৮ সালের ১ আগস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পতনের পর পাকিস্তান ও ভারত আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর তাঁর পরিবার বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) চলে আসে। পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশের বহুল পরিচিত ও বিখ্যাত ডেইলি অবজারভার পত্রিকায় চাকরির মাধ্যমে তাঁর সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু। প্রথমে তিনি নগর সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর পালাক্রমে আরও অন্যান্য ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক ও কলামিস্ট হিসেবে ছিলেন। ডেইলি মর্নিং সান, মর্নিং নিউজ ও ডেইলি নিউ নেশনের সম্পাদক ছিলেন। পাকিস্তান আমলে তিনবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন এবং পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন।
সাংবাদিক জগতের অগ্রপথিক ফাজলে রশীদ ছিলেন একটি ইনস্টিটিউটের মতো। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার একজন শ্রেষ্ঠতম মানুষ। অনেকেই তাঁর হাত ধরে সাংবাদিকতার পেশায় আসেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর অবদান অপরিসীম। সাংবাদিকতা থেকে অবসর নেওয়ার পরও তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। জীবনের শেষদিকে কয়েক বছর কিডনি-সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন। তিনি নিউইয়র্কে প্রায় সাত বছর ছিলেন এবং সপ্তাহে তিন দিন তাঁকে ডায়ালাইসিস নিতে হতো। এই অবস্থায়ও তিনি নিয়মিত লেখালেখি ও সামাজিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখেন।
বর্ষীয়ান সাংবাদিক পরম শ্রদ্ধেয় ফাজলে রশীদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে বহুবার তাঁর সঙ্গ লাভ করেছি। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কিছু স্মৃতির অবতারণা না করলেই নয়।

কয়েক বছর আগের কথা। রোদেলা দুপুর। দিনটি ছিল শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আবহাওয়া চমৎকার। বাসা থেকে বের হয়ে ম্যানহাটনের ইস্ট রিভারের কোলঘেঁষা এফডিয়ার-ড্রাইভ বেয়ে নিউইয়র্কের সুবিখ্যাত কুইন্স বরো ব্রিজ (আপার লেভেল) থেকে নেমে টোয়েন্টি ফার্স্ট স্ট্রিট থেকে লং আইল্যান্ড সিটির শুরুতেই বিখ্যাত ফাইভ স্টার ব্যাংকুইট অ্যান্ড পার্টি হলে প্রবেশ করলাম। সাথে আমার সহধর্মিণী সাঈদা আখতার রেজভীনও আছে। পড়ন্ত বিকেলের আগেই শুরু হলো সমাগম। আমাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হলো। অনুষ্ঠানের হোস্ট সর্বজনশ্রদ্ধেয় ফাজলে রশীদ ভাই আমাকে পার্টি হলে প্রবেশ করতেই বাঁ দিকের প্রথম বৃহদাকারের টেবিল দেখিয়ে বললেন, তোমরা ওখানে বসো। সেই টেবিল ঘিরে বসে আছেন কয়েকজন গেস্ট, যার মধ্যখানে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শ্রদ্ধেয় শহীদ কাদরী। শহীদ ভাই বললেন, বেশ ভালোই হলো, এখানেই বসে পড়ো। পাশ ঘেঁষেই বসে আছেন কবিপত্নী ‘নীরা কাদরী’। একই টেবিলে অধ্যাপিকা হোসনে আরা এবং সঙ্গে তার সহধর্মী নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত প্রাচীন পত্রিকা সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক জনাব ফজলুর রহমান। টেবিলের দৈর্ঘ্য-দক্ষিণের চেয়ারে বসে আছেন মিতবাক গাম্ভীর্যবান ঠিকানা পত্রিকার কর্ণধার ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বন্ধুসজ্জন জনাব সাঈদ-উর রব। কবি শহীদ কাদরীর মুখোমুখি বসা রেজভীন এবং তারই পাশে বিশিষ্ট নাট্যাভিনেত্রী রেখা আহমেদ। শহীদ ভাইয়ের পাশে আসন নিয়ে সংযুক্ত হলাম এক অন্য রকম আড্ডায়।
নাহ্্! আড্ডা বলি কেন, ইহা একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠান এবং সেই অনুষ্ঠানে আমরা সবাই কনেপক্ষের মেহমান। আর এই সুষমামণ্ডিত কনেপক্ষের অন্যতম অধিকর্তা হলেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা খ্যাতিমান সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় জনাব ফাজলে রশীদ এবং তাঁর সহধর্মিণী অধ্যাপিকা মমতাজ খান। কুলীন ঘরের এই সম্ভ্রান্ত পরিবারের একমাত্র কন্যা ফাবিয়া রশীদের বিয়ের অনুষ্ঠান এবং মধ্যাহ্নভোজের রমরমা আয়োজন।
ফাজলে রশীদ ভাইয়ের পরিবারের একটা আভিজাত্যমূলক পরিচয় আছে। তিরিশের দশকের দিকে যে কজন মুসলিম তরুণ সাম্রাজ্যবাদী যুগে উপমহাদেশের হিন্দু আধিপত্যবাদের মধ্যেও সাহিত্যজগতে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করেন, তাদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক আবু রুশদ ও রশীদ করীম অন্যতম। বাংলাদেশের স্বনামধন্য এই দুই বুদ্ধিজীবীর ছোট ভাই ফাজলে রশীদ, যিনি ব্রিটিশ আমলে জন্ম নিয়েছেন এবং পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক। সারা জীবন সাংবাদিকতা করেছেন এবং আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিলেন ইংরেজি পত্রপত্রিকার সঙ্গে। ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদনা ছাড়াও ইংলিশ রাইটিং ও বাংলা সাহিত্যধর্মী ও কলাম লেখায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত।
ব্যক্তিগতভাবে অমায়িক ব্যবহার ও স্বভাব চেতনার শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। প্রবল দেশাত্মবোধ, ঐতিহ্যবোধ, দেশ-মাটি ও মানুষের স্বার্থে তাঁর কলম সুদৃঢ়, তীক্ষ্ণ, শক্তিশালী এবং ইংরেজিতে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। জনাব ফাজলে রশীদ ভাইয়ের সহধর্মিণী অধ্যাপিকা মমতাজ খান ১৯৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হোম ইকোনমিকসে এমএ পাস করেন এবং ঢাকার হোম ইকোনমিকস কলেজে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে আরিফ রশীদ অস্ট্রেলিয়া থেকে সিপিএ করেন। শুনেছি, তিনি সেখানে একটি ব্যাংকের ম্যানেজার পদে কর্মরত। তাঁদেরই কন্যা ফাবিয়া রশীদ ফিন্যান্সে বিবিএ এবং ক্যাপিটাল ব্যাংকে কর্মরত। বর্তমানে স্বামীসহ যুক্তরাষ্ট্রের মেনিসোটায় বসবাস করছেন। ওরা মাঝেমধ্যে নিউইয়র্কে আসতেন এবং রশীদ ভাইয়ের সাথে সময় কাটাতেন। যতদূর মনে পড়ে, সেই জমজমাট অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জনাব শওকত মাহমুদসহ নিউইয়র্কে কর্মরত কয়েকজন সংবাদপত্র সম্পাদক ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
ফাজলে রশীদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ঢাকা থেকে। শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক আবু রুশদের বেশ কয়েকটি বই আমাদের প্রকাশনা সংস্থা (বাড পাবলিকেশন্স) থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সূত্রে আবু রুশদ স্যারের সঙ্গে আমার ছিল নিয়মিত যোগাযোগ। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। একবার ফাজলে রশীদ ভাই প্রেসক্লাবে আমাকে ডেকে বললেন, ‘তুমি তো বড় ভাইয়ের বেশ কয়েকটি বই বের করেছ। মেজো ভাই রশীদ করীমের বই বের করতে চাইলে আমাকে জানিয়ো।’
প্রকাশ থাকে যে বহির্বিশ্ব থেকে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় ফিরে ধানমন্ডিতে প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠা, বাংলাবাজারে প্রেস-পাবলিকেশন্স পরিচালনা ছাড়াও মতিঝিল থেকে আমার সম্পাদনায় ‘দেশ অর্থনীতি’ ও ‘দেশমাতৃকা’ নামে দুটি পত্রিকা বের হতো। এসব কিছুই আবু রুশদ স্যার ও রশীদ ভাইয়ের নলেজে ছিল। ফাজলে রশীদ ভাইয়ের সাথে ঢাকা ও পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কে যে পরিমাণ সান্নিধ্য লাভ করেছি, তা কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়। যেহেতু আমরা একই শহরে (নিউইয়র্কে থাকাকালীন), তাই ফাজলে রশীদ ভাইয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। একবার জুইস সেন্টারে আমার দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছিলেন ফাজলে রশীদ ভাই। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে কর্মরত তৎকালীন কালচারাল মিনিস্টার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ষাটের দশকের অন্যতম গণকবি মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুব।
সেই অনুষ্ঠানটির আলোচনা পর্বে বিশিষ্টজনদের মধ্যে পত্রিকা সম্পাদক, কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও আবৃত্তিকার অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফাজলে রশীদ ভাই বেশ পুলকিত ও খুশি হয়েছিলেন, অনুষ্ঠানের সামগ্রিক পর্বকে উপভোগ করেছেন।
মনে পড়ে, পুরো অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে তাঁর একটি চমৎকার লেখা ঢাকার দৈনিকে এবং নিউইয়র্কের ঠিকানা পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। আমি জানতাম না, লেখাটি প্রকাশ হওয়ার পর বুঝতে পারলাম, তিনি আমাকে কতটা স্নেহ করতেন। এমন মহত্বের অধিকারী ছিলেন সাংবাদিক ফাজলে রশীদ ভাই।
মানুষের জীবন তো এমনই। ভালো মানুষের পরশ ও সান্নিধ্যছোঁয়ায় মানুষের জীবন অর্থময় হয়ে ওঠে। বড় থেকে আরো বড় হওয়ার পথ সৃষ্টি হয়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত উক্তি :
‘সহসা দারুণ দুঃখতাপে সকল ভুবন যবে কাঁপে,
সকল পথের ঘোচে চিহ্ন সকল বাঁধন যবে ছিন্ন
মৃত্যু-আঘাত লাগে প্রাণেÑতোমার পরশ আসে কখন কে জানে।’
সেভাবেই অনিন্দ্যসুন্দর মানুষ ফাজলে রশীদ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে। মেয়ের বিয়ের কয়েক মাস পর তিনি তাদের সাথে মেনিসোটায় চলে যান। নিউইয়র্ক ছেড়ে মেয়ের কাছে চলে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরকালের জন্য পরপারে চলে যান। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছিল। প্রায়ই তিনি নিউইয়র্ক ফিরে আসার কথা বলতেন। কিন্তু আর আসা হলো না।
পৃথিবীতে মানুষের আগমন হচ্ছে বিচ্ছেদেরই পরম্পরা। বিচ্ছেদের মাধ্যমে প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কেননা মৃত্যু হচ্ছে অবিনশ্বরে মহাযাত্রার সূচনা, যার মধ্য দিয়ে অনন্তের দুয়ার খুলে যায়। মন না চাইলেও সবাইকে ছেড়ে যেতে হবে অবধারিতভাবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার বিখ্যাত লাইন মনে পড়ছে :
‘ছাড়িতে পরাণ নাহি চায় তবু যেতে হবে হায়
মলয়া মিনতি করে তবু কুসুম শুকায়।’
আগেই উল্লেখ করেছি, মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধেয় ফাজলে রশীদ একজন মহৎ মানুষ ছিলেন। মানুষের শ্রেষ্ঠতম গুণটি প্রকাশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মানবপ্রেম। কিছু করতে না পারলেও মানুষের জন্য ভালোবাসা থাকলে মহত্বের প্রবৃদ্ধি ঘটে। ফাজলে রশীদ ভাই সেই গুণটির প্রতি সচেতন ছিলেন এবং তাঁর সাংবাদিক মহলে এর অনেক প্রমাণ রয়েছে। শ্রেষ্ঠ মানুষ আল্লাহর খুব পছন্দ। ফাজলে রশীদ ভাইয়ের মধ্যে যেমন ধর্মবোধ ছিল, তেমনি প্রবল ছিল তাঁর মানবতাবোধ।
বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যার দ্বারা মানবতা উপকৃত হয়, তিনিই মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘মানবতাই মানুষের শ্রেষ্ঠতম গুণ।’ ফাজলে রশীদ ভাইয়ের মাঝে সেই গুণ ছিল।
রবীন্দ্রনাথের একটি চিরন্তন কবিতায় তিনি বলেছেন :
‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই,
এই সূর্যকরে পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই।’
জীবনের সাথে মৃত্যুরই সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক। আল্লাহপাক বলেছেন, ‘মানুষ মরণশীল।’
মৃত্যু হচ্ছে জীবনের সিঁড়ি। এখানে আমরা কোলরিজের একটি বিখ্যাত উক্তির অবতারণা করতে পারি,‘জীবন হচ্ছে মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’ আমাদের ফাজলে রশীদ ভাই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জীবনকে স্মরণীয় করে রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য যে সত্যনিষ্ঠতা ও নীতিবোধ রেখে গেছেন, আমাদের সাংবাদিক মহল মনে রাখলে তাঁদেরই কল্যাণ হবে।
জীবনের অনেক টুকরো স্মৃতির সাথে মিশে আছেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক ফাজলে রশীদ ভাই। তিনি অমর। তিনি অনির্বাণ।

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক।