ওয়ার্ক ফ্রম হোম করোনা বিদায় নিলেও থেকে যাবে: বিল গেটস
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে:
করোনা প্যানডামিকের থাবায় বদলে গেছে সারা বিশ্বের কাজের মাপকাঠি। নিউ নর্মালে সবাই এখন অভ্যস্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোমে। এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন মাইক্রোসফট সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
তথ্যপ্রযুক্তি জগতে এক নতুন জোয়ার এনেছিলেন বিল গেটস। পরবর্তীকালে তিনি নিজেকে যুক্ত করেন একাধিক সমাজসেবামূলক কাজে। স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের সঙ্গে মিলে শুরু করেন Bill & Melinda Gates Foundation। এবার সেই বিল গেটসই জানালেন, তার বিশ্বাস করোনা প্যানডামিক কেটে গেলেও ভবিষ্যতে বহাল তবিয়তে চলবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মসংস্কৃতি।
দ্য ইকোনমিক টাইমস আয়োজিত একটি অনলাইন বিজনেস সামিটে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন বিল গেটস। এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচারের সঙ্গে মানিয়ে কাজের গতি অক্ষুণ্ন রেখে চলেছে, তা এককথায় অনবদ্য। আশা করছি প্যানডামিক পরিস্থিতি কেটে গেলেও এই কর্মসংস্কৃতি বজায় থাকবে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই প্যানডামিক কেটে গেলে আরও একবার ভেবে দেখতে হবে অফিসে কতটা সময় কাটানো ঠিক হবে – দিনের ২০, ৩০ নাকি ৫০ শতাংশ সময়। অনেক সংস্থাই চাইবে তার কর্মীরা ৫০ শতাংশের কম সময়ে অফিসে কাটান আবার বাকি বহু সংস্থাই পুরনো অভ্যাসেই ফিরে যেতে চাইবে।
বিল গেটস জানান, এ বছর তিনি কর্মসূত্রে কোথাও ট্র্যাভেল করেননি। সত্যি বলতে কি আরও অনেক বেশি কাজ করার সময় ও সুযোগ আমি পেয়েছি। এই পরিস্থিতি যেন আমার চোখ খুলে দিয়েছে। তবে একই সঙ্গে তার বক্তব্য, ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিকে আরও এনগেজিং করে তুলতে উন্নত করতে হবে সফটওয়্যার। একই সঙ্গে কিছু সমস্যাও তৈরি হয় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রে। বাড়িতে বাচ্চারা থাকলে তাদের সময় দিতে হয়, দেখভাল করতে হয়, সংসারের কিছু কাজও এসে পড়ে। সব মিলিয়ে কাজে তার প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে মহিলা কর্মীদের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বেশ কষ্টকর।