কুইন্স ও ম্যানহাটানে ভাড়া অস্বাভাবিক হ্রাস: হাজারো এপার্টমেন্ট শূন্য
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :
কুইন্স ও ম্যানহাটানে বাড়ি ও এপার্টমেন্ট ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে কমছে। হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেসিস, জেসিপেনী ও জিএনসিসহ শতশত চেইন স্টোর বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করোনা শুরু হবার পর শাটার বন্ধ করেছে। গত ৭ মাসে আর খোলার মুখ দেখেনি। ম্যানহাটানের এমন কোন ব্লক নেই যেখানে ভাড়ার সাইনবোর্ড ঝুলছে না।
বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্ক সিটির কপালে লেগেছে গরিবী ছায়া। একমাত্র টাইমস স্কয়ার এলাকায় আলো ঝলমল থাকলেও নেই আগের মতো হাজারো মানুষের আনাগোনা। ইস্ট ও ওয়েস্ট ভিলেজ টুরিস্টদের পদভারে জেগে ওঠে না। রঙিন পানির গ্লাসে ডুবে থাকে না স্বপ্নবিলাসী যুগলেরা। ওয়েস্ট সাইডের স্পোর্টস ক্লাব বা জেন্টলসম্যান ক্লাবগুলো শশ্মানে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকায় রাতে নেমে আসে নীরব নিঃশব্দ নীরবতা। কবে জেগে উঠবে নিউইয়র্ক সিটি। বসবে মেলা। তা কেউ বলতে পারে না। নিদ্রাহীন ম্যানহাটানের কান্নার রোল পড়েছে ইস্ট রিভারের পূর্ব তীরে। বিশেষ করে কুইন্সে তার প্রভাব পড়েছে একটু বেশি। হাজার হাজার মানুষ ত্যাগ করেছে কুইন্স। জীবন যুদ্ধেও প্রয়োজনেই স্বল্প খরচে জীবন যাপনের প্রত্যয়ে ছেড়েছে নিবাস। আগে ব্রোকারদের ২ বা ৩ মাসের অর্থ দিয়েও ভাড়া পাওয়া যেত না। এখন চাহিবামাত্র বাসা বা এপার্টমেন্ট রেডি। কুইন্সের সবচেয়ে আর্কষণীয় ও ব্যয়বহুল আবাসিক এলাকা হচ্ছে ইস্ট রিভার সংলগ্ন লং আইল্যান্ড সিটি। এস্টোরিয়া থেকে প্রকাশিত একটি ইংরেজি পত্রিকার তথ্যানুসারে লং আইল্যান্ড সিটির এপার্টমেন্টগুলোর ভাড়া কমেছে ১৫ শতাংশ। বিজ্ঞাপন দিয়ে ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীরা।