রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘তুমি প্রসন্ন নবমীতে’
তুমি প্রসন্ন নবমীতে
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
ভূবনমোহিনী অবশেষে দেখা দিলে এ প্রাণে।
কালো অন্ধকার কর্দমাক্ত মাটির গন্ধে ভারাক্রান্ত
মনে বার বার ফিরে ফিরে তাকাই
শারদ আকাশে।
যদিবা আসে প্রসন্নময়ী গগনে আলোর দিশা।
অবশেষে তুমি দেখা দিলে —-
তোমার চরণে লুটিয়ে পরার আকুলতার শেষ নিবেদনটুকুর সুযোগ করে দিলে।
নবমীর চৌকাঠ পেরিয়ে যেতে
পারলেনা আমাদের এড়িয়ে।
সেই তো দেখা দিলে।
পুরো একটি বছর পর তোমার চাঁদ মুখের দর্শন পাবো বলে। কিন্তু তুমি এসেছো ভারাক্রান্ত মন নিয়ে। মায়ের কষ্ট সব সন্তান না বুঝলেও কোন কোন সন্তান ঠিক বুঝে মায়ের অন্তরের কথা।
মেঘের কালিমালিপ্ত শারদীয় আকাশ নিয়ে এসেছো তোমার খেয়াল খুশী মতো।
হৃদয়ের এক কোনে তোমার চরণের আশীর্বাদের আশে থাকি সবে তুমি আসবে পরে।
আসন পেতে রেখেছি পৃথিবী জুরে অর্ঘ্য দিয়ে পূজিব বলে।
তোমার পূজোর থালায় নৈবেদ্য সাজিয়ে রেখেছি অগণিত প্যান্ডেলে।।
মাগো তুমি অবশেষে আমাদের দেখা দিলে।।
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, চলে গেলো অঝোরে বারি ধারায়।।
হয়তো হতে পারে তুমি চাওনি আমাদের দেখা দিতে।
বিদায় নেবার দোরে যখন তুমি,
আমাদের ডাকে অবশেষে দেখা দিলে অসহায় মানুষের ভীড়ে।
তোমার জ্যোতিতে পৃথিবী মুখরিত হলো, আনন্দে ভরিয়ে দিলে আমাদের প্রাণে—পৃথিবীর প’রে।৷
আবার দশমীর বিদায়ী করুণ রাগিনী
ঘরে ঘরে ব্যস্ত সবাই তোমার মাঙ্গলিক যাত্রার আয়োজনে।।