রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘সবুজ সাথী’
সবুজ সাথী
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
সবুজ সাথী/ আমার সাথীর মাঝেই আমাদের প্রথম বর্ণ পরিচয়।
বর্ণ তুমি তো মহা সাগরের মতো উদার।
সারা বিশ্বের জ্ঞানীগুনী ও সাধারন জনের মাঝেই তোমার বিচরণ।
ছোট ছোট বর্ণমালা নিয়ে তোমার সংসার।।
প্রথম যখন আমার হাতে খড়ি দিলে তুমি আমার মাকে অনেক কষ্ট দিয়েছো।
কিছুতেই তুমি আমার হাতে বসতে চাইছিলেনা।
তর্জনী আর বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে যখন কষে ধরেছিলাম তখন তুমি আমার বশে এলে।
এত অক্ষর পুঞ্জ পরিবার নিয়ে এক সাথে
সবাই থাকো।
গুটি গুটি পায়ে ইচ্ছে মতো নিজের আকৃতি তৈরী করো।
মনের কত কথা তুমি অক্ষরের পিঠে বসে মনের আবেগিক কথাগুচ্ছগুলো চিঠি হয়ে শান্তির বার্তা
পৌঁছে দাও।
বর্ণে বর্ণে অক্ষর গুছিয়ে কথা মালা তৈরী করো।
ছন্দে ছন্দে কবিতার জাল বুনে
মানুষের মনের আহার যুগাও।
এমনি ভাবেই তুমি আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছো।
স্বরবর্ণ যখন ব্যাঞ্জণের কাঁধে হাত রাখে কী অদ্ভুত শব্দ বাসর তখন সৃষ্টি হয়।
মনের কোণে শব্দভান্ডারের স্বপ্ন সঞ্চিত হয়।
পঞ্চ ইন্দ্রিয় নিয়ে এসেছি ভূবনে।
তাইতো বর্ণের মিলন ঘটিয়ে শব্দ ঝংকৃত হয়ে উদ্ভাবিত হয়।
স্তরে স্তরে শব্দ কুহুক রুপান্তরিত হয় বিশালতায় পৌঁছে দাও মানবের ভীরে।
তোমর এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অক্ষরগুলি একতাবদ্ধ হয়ে
আজ গীতবিতান, গীতিকাব্য, রচনাশৈলী , ভালোবাসার গ্রন্থ, আরো কত কী পুস্তক আকারে সৃস্ট পণ্য সামগ্রী রুপে প্রদশর্নের সুযোগ করে দিয়েছো আমাদের।
অবুখ শিশুর মতো বোবা হয়ে থেকো না।
মানুষের ভেতরে চেতনাশক্তির বিকাশ ঘটাও।
তোমার বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষর
যেনো অক্ষর জ্ঞানশূণ্য মানুষকে বর্ণ থেকে শব্দ, শব্দ থেকে বাক্য, বাক্য থেকে অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ থেকে মনের ভাষায় প্রতিবাদ করতে শেখায়।
সবুজ সাথী এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।