প্রচ্ছদ

সুন্দরবন খুলেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণে পর্যটকেরা

  |  ১৩:৩৯, নভেম্বর ০১, ২০২০
www.adarshabarta.com

আদর্শবার্তা ডেস্ক :

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ট্রলারে করে সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকেরা। রোববার সুন্দরবনের দোবেকি এলাকায়নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ট্রলারে করে সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকেরা। রোববার সুন্দরবনের দোবেকি এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত মাস বন্ধ থাকার পর একাধিক শর্তসাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। রোববার সকাল থেকে সুন্দরবনে ঢুকতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৯ মার্চ সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। রোববার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরবনে যেতে হচ্ছে। প্রত্যেক পর্যটককে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হচ্ছে। একটি ট্রলারে ২০ জনের বেশি যেতে পারবেন না। সুন্দরবনে প্রবেশের আগে প্রত্যেক পর্যটকের তাপমাত্রা দেখা হচ্ছে। কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অঞ্চলের ট্যুর অপারেটর সালাউদ্দিন জানান, মূলত অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনে ভ্রমণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ট্যুর অপারেটরগুলো। তবে বিশেষ উৎসব বা ছুটিতে বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণ করায় অপারেটররা। তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরা থেকে পর্যটকেরা সধারণত খোলপেটুয়া নদী হয়ে ভ্রমণস্থান কালিগাছিয়া ও দোবেকিতে যান। এ দুই স্থান অপেক্ষাকৃত অনেক সাজানো–গোছানো। এ দুই স্থানে সুন্দরবন দেখার জন্য উঁচু টাওয়ার ও ভেতরে যাওয়ার জন্য রেয়েছে সেতু।

রোববার বেলা একটা পর্যন্ত সাতটি ট্রলারে শতাধিক পর্যটক এই বনে ঢুকেছেন। প্রথম দিন হওয়ায় ভিড় অনেক কম ছিল।
ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম জানান, ভ্রমণপিপাসুরা সাধারণত সাতক্ষীরা এলাকায় এক দিন কিংবা দুই দিনের ভ্রমণে ট্রলারে করে যান। সাতক্ষীরা বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় ৮০টি ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারমালিক ও শ্রমিকদের করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে গত সাত মাস ধরে কাজ নেই। অভাবে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়ায় তাঁদের বেকারত্ব ঘুচবে। তিনি জানান, রোববার প্রথম দিন সাতটি ট্রলার সুন্দরবনে ঢুকেছে। তাতে শতাধিক পর্যটক ছিলেন।

সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার বেল্লাল হোসেন জানান, করোনার কারণে ঘরে একরকম বন্দিজীবন কেটেছে। এভাবে আর কত দিন পারা যায়? একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। প্রকৃতির কাছাকাছি আসতে আর দেরি না করে রোববারই কয়েক বন্ধু মিলে সুন্দরবনে ভ্রমণে এসেছেন। তিনি বলেন, যতবার আসেন, ততবারই সুন্দরবন ভালো লাগে। নতুন মনে হয়।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ জানান, রোববার ভোর থেকে পর্যটকদের সুন্দরবনে ভ্রমণ শুরু হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেতে হয়েছে। রোববার বেলা একটা পর্যন্ত সাতটি ট্রলারে শতাধিক পর্যটক এই বনে ঢুকেছেন। প্রথম দিন হওয়ায় ভিড় অনেক কম ছিল।

(সুত্র: প্রথম আলো)