রাজলক্ষ্মী মৌসুমী-এর কবিতা ‘হেমন্তের শুভ্র সকালে তুমি এসো বার বার’
হেমন্তের শুভ্র সকালে তুমি এসো বার বার
রাজলক্ষ্মী মৌসুমী
এই এলো বলে নবান্নের উৎসব।
মেতে উঠবে ঘরে ঘরে আনন্দের জোয়ার।
ধানের শীর্ষ ডগা হেমন্তের কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে।
ভালোবাসার পরশের স্বপ্নে হেলেদুলে দোল খায়।
যৌবনের রংচ্ছটায় ধানের দেহ বল্লরী আবেগের
প্রাণোচ্ছাসে উৎসুক মন নিয়ে আছে অপেক্ষায়।
কখন কৃষকের হাতে হাত ধরে যাবে কখন
আকাঙ্খার গোলায়।
গোধূলির পূবাকাশে সাদা লাল মেঘের বিচরণে
কী আনন্দ সবার, কী এক আশায় উৎফুল্ল চিত্তে
গড়াগড়ি খায় ক্ষেতের চারপাশে।
মাটির গন্ধও যেনো আকৃষ্ট করে তোলে ক্ষেতের পানে।
আশায় থাকে কৃষক সবে।
কখন আনবে কেটে ফসল ঘরে।
ঠিক এই নবান্নের শিশির ভেজা হেমন্তের শুভ্র সকালে
তুমি এলে এই পৃথিবীতে।
এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের জ্যোতির প্রভাব তোমার অবয়বে।
তোমার জন্মতিথি নাকি খুব ভালো।
তাইতো তুমি যেখানে
থাকো সেখানেই তুমি আলো।
যুগ যুগ এই জন্মের আলোর তিথি নবান্নের সাথে মিতালী পেতে আনন্দটুকু নিংড়ে নেবো চিরকাল।
হেমন্তের সবটুকু সোহাগ, আবেগের আবেশের
অনুভব চিরঞ্জীব হয়ে থাকুক সারা জীবন।
যুগ যুগ তোমার জন্ম লগ্নটিও হৈমন্তিক শুভ্র সকালে
মাঙ্গলিক আনন্দ ধ্বনিতে শঙ্খধ্বনির মতো
অনুরণিত হোক আমার হৃদয়ে চিরদিন।