প্রচ্ছদ

বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে

  |  ১৪:১৪, নভেম্বর ০৫, ২০২০
www.adarshabarta.com

মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে :

বহুল প্রতীক্ষিত আমেরিকার ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে শেষ হয়নি প্রেসিডেন্সির জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটপ্রাপ্তির প্রতীক্ষা। এই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৭০ ভোট কার পক্ষে গেল-ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে নাকি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তবে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেনই হতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে পরাজয়ের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৪ নভেম্বর বুধবার বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৭০ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে বাইডেন ২৪৮টি এবং ট্রাম্প ২১৪টি পেয়েছেন। ম্যাজিক ফিগার ২৭০ অর্জনের জন্য বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ২২টি ইলেকটোরাল ভোট আর ট্রাম্পের প্রয়োজন ৫৬টি। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৪টির ফল পাওয়া গেছে। তাতে বাইডেন জিতেছেন ২১টি অঙ্গরাজ্যে আর ট্রাম্প ২৩টিতে। বাকি ৬টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। মূলত এই ৬টি অঙ্গরাজ্যের ৭৬টি ইলেকটোরাল ভোটের কমপক্ষে ৫৬টি পেলেই কেবল ট্রাম্পের ভাগ্য খুলতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ওই ৬টির মধ্যে নেভাদা ও মিশিগানে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। এই দুই রাজ্যের ২২টি ইলেকটোরাল ভোট বাইডেনের ঝুলিতে জমা হলে তিনিই হবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনায়। এই দুটি রাজ্যের ৩১টি ইলেকটোরাল ভোট ট্রাম্প পেলে এবং বাকি থাকা পেনসিলভানিয়া ও আলাস্কায় জয়ী হলেও তিনি ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারছেন না। কারণ ওই চার রাজ্যের মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৪টি। এর সাথে ট্রাম্পের ২১৪ ভোট যোগ করলে দাঁড়ায় ২৬৮, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় ট্রাম্প বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গোটা বিশ্বও এখন তাকিয়ে আছে মার্কিন নির্বাচনের দিকেই।

আমেরিকার এবারের নির্বাচনের মতো রেকর্ড সৃষ্টিকারী নির্বাচন আগে আর কখনো হয়নি। এবার নির্বাচনের আগেই রেকর্ডসংখ্যক ১০ কোটির বেশি অগ্রিম ভোট পড়ে। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যে ৪৪টি অঙ্গরাজ্যের ফল ঘোষিত হয়েছে, তাতে ইলেকটোরাল ভোটের পাশাপাশি পপুলার ভোটেও এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। সর্বশেষ প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী জো বাইডেন পেয়েছেন ৭ কোটি ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ ভোট। বাইডেন পেয়েছেন মোট ভোটের ৫০.১৫ শতাংশ আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮.২৩ শতাংশ।

যে অঙ্গরাজ্যগুলোর ফলের অপেক্ষায় বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় জো বাইডেন কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। ফলের অপেক্ষায় থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোট নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন দুই প্রার্থী।

সংবাদ সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪টি রাজ্যের তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে ২৪৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন জো বাইডেন। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ভোট। এখন পর্যন্ত যেসব অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ফলের অপেক্ষা, সেগুলো হলো আলাস্কা (৩), নেভাদা (৬), মিশিগান (১৬), পেনসিলভানিয়া (২০), নর্থ ক্যারোলিনা (১৫) ও জর্জিয়া (১৬)।

বাইডেন ২৪৮, ট্রাম্প ২১৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই চলছে। হোয়াইট হাউসের দৌড়ে দুই প্রার্থীই রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে জো বাইডেনের দরকার ২২ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট আর ট্রাম্পের দরকার ৫৬ কলেজ ভোট। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৪টি অঙ্গরাজ্যের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে ২৪৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এখনো ছয়টি রাজ্যের ফল ঘোষণা করা হয়নি। ৭৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ফল ঘোষণা বাকি। এদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হয়েছেন ২১টি রাজ্যে। যার মধ্যে তার নিজ এলাকা ডেলওয়ারসহ ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্ক অন্যতম। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৩টি অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন। যার মধ্যে ফ্লোরিডা ও টেক্সাস অন্যতম। নেব্রাসকার ভোট ভাগ হয়ে গেছে। সেখান থেকে ট্রাম্প পেয়েছেন তিনটি আর বাইডেন একটি। মেইনেও বাইডেন জিতেছেন।

যে কারণে ফল পেতে দেরি হচ্ছে

প্রতিবার নির্বাচনে মার্কিন সময় মধ্যরাতেই কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন, সে খবর জানা যায়। এরপর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মধ্যরাতে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জয়ী প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানান। এটাই মার্কিন গণতন্ত্রের রীতি এবং ঐতিহ্য। কিন্তু এবার রাত পেরিয়ে পরদিনে গড়ালেও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি কে নির্বাচিত হচ্ছেন। যদিও বাইডেন ২৪৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে এগিয়ে আছেন কিন্তু এটি তাকে নিশ্চয়তা দেয় না যে তিনি অনিবার্যভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আবার ২১৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে ট্রাম্প পুরোপুরি হেরে গেছেন এমনটি ভাবার কারণ নেই। তবে এখন পর্যন্ত এই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বড় ধরনের কোনো অঘটন না ঘটলে বাইডেনই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেনÑএটা প্রায় নিশ্চিত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একাধিক কারণে এবারের নির্বাচনের ফলাফল পেতে দেরি হতে পারে। প্রথমত, করোনার কারণে এবার প্রায় ৫ কোটির বেশি ব্যালট ভোট পড়েছে। এই বিপুল ভোট গণনা এবং ডাকযোগে ভোটগুলো ভোটকেন্দ্রে আসা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর এবারের নির্বাচনের ফলাফল বিলম্বের একটি প্রধান কারণ হলো এই ব্যালট ভোট। দ্বিতীয়ত, দুই প্রার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। এই বাস্তবতায় ডাকযোগে যে ভোটগুলো আসছে তার ওপর নির্বাচনের ভাগ্য অনেকখানি নির্ভর করছে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে ভোট গণনার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। যেসব জায়গায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে, সেখানকার কর্তৃপক্ষ পোস্টাল ভোট গণনা সম্পন্ন করতে পারেনি। এসব ভোটও খেলার পুরো চিত্র পরিবর্তন করে দিতে পারে।

এখন তাহলে কিসের জন্য অপেক্ষা?

মনে করা হচ্ছে, পুরো লড়াইটা শেষ পর্যন্ত পোস্টাল ভোটের গণনা পর্যন্ত গড়াতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই বলেছেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প ও বাইডেন আইনি লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি হিসেবে নিজ নিজ পক্ষে ছয় শতাধিক করে আইনজীবী নিয়োগ করে রেখেছেন। অর্থাৎ ট্রাম্প আদালতে গেলে বাইডেনও নিশ্চয় আদালতের শরণাপন্ন হবেন। এর মানে হলো, ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এবারের নির্বাচন ভিন্ন কেন?

অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এ বছর বেশিসংখ্যক মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেন। ডাকযোগে অথবা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তারা ভোটের আগ্রহ দেখিয়েছেন। সাধারণত ডাকযোগের ভোট গণনা করতে সময় বেশি লাগে। কারণ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব ভোটের সত্যতা যাচাই করা হয়; বিশেষ করে স্বাক্ষর ও ঠিকানা যাচাই না করা পর্যন্ত ভোট গণনা হয় না।

ওহাইও এবং ফ্লোরিডার মতো কিছু অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনের দিনের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই আগাম ভোটের গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন হচ্ছে সেটির ওপর নির্ভর করে ভোটের রাতেই বিজয়ী ঘোষণা করা সম্ভব হয়। কিন্তু পেনসিলভানিয়ার মতো দু-তিনটি রাজ্যে ভোট গ্রহণের দিন ছাড়া আগাম ভোট গণনার সুযোগ নেই। এসব রাজ্য নির্বাচনী ফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, ভোট গণনায় কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আমরা জয়ের পথে আছি : বাইডেন

৩ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোট গণনার রাতে নিজ শহর ডেলাওয়ারে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এই নির্বাচনে আমরা জয়ের পথে আছি।’ নির্বাচনের ফল পেতে দেরি হতে পারে বলেও জানান ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন। তবে জয় পাওয়ার ব্যাপারে পুরো আত্মবিশ্বাসী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন। প্রতিটি ভোট-ব্যালট গণনা করার আগ পর্যন্ত লড়াইটা শেষ হচ্ছে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আমরা বড় ব্যবধানে জিতেছি : ট্রাম্প

আমরা শুধু জিতিনি, বড় ব্যবধানে জিতেছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটি বললেন। ভাষণে প্রথমেই আত্মীয় এবং সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সব জিতেছি। আমরা বড় উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেনÑসেটা জানতে আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে তার আগেই বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

একনজরে ৪৪ অঙ্গরাজ্যের ফল

১. কেন্টাকি : কেন্টাকিতে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৮। এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কেন্টাকিতে ট্রাম্প ৬৫% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। জো বাইডেন পেয়েছেন ৩৩.৫% ভোট।

২. ইন্ডিয়ানা : এই স্টেট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১১। এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জয়ী হন ৬৪.২% ভোট পেয়ে। জো বাইডেন পেয়েছেন ৩৩.৬% ভোট।

৩. ভারমন্ট : ভারমন্টে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৩। জো বাইডেন ৬১.৪% ভোট পেয়ে জয়ী হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৫.৫% ভোট।

৪. মেরিল্যান্ড : মেরিল্যান্ডে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০। এই স্টেটে জয়ী জো বাইডেন। বাইডেন পেয়েছেন ৫২.৯% আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৪.৮% ভোট।

৫. ডেলাওয়ার : ডেলাওয়ারে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৩। ডেমোক্র্যাটিক এই স্টেটে জো বাইডেন জয়ী হয়েছেন। তার নিজের স্টেটে প্রাপ্ত ভোট ৭৯.৪%। ট্রাম্পের ভোটের সংখ্যা ১৯.৫%।

৬. ওকালাহোমা : এই স্টেটে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৭। রিপাবলিকান এই স্টেটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬১.৫%। জো বাইডেনের ভোট পেয়েছেন ৩৬.৯%।

৭. ম্যাসাচুসেটস : ম্যাসাচুসেটসে ইলেকটোরাল ভোট ১১। ডেমোক্র্যাটিক এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৯.৭%। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৮.৭% ভোট।

৮. টেনেসি : এই স্টেটে ইলেকটোরাল ভোট ১১। রেড এই স্টেটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জয়লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৭২.৪%। জো বাইডেন পেয়েছেন ২৬.৪% ভোট।

৯. কানেকটিকাট : ইলেকটোরাল ভোট ৭। এই স্টেটে জয়ী জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ৫৮.১%। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪০.৪%।

১০. নিউজার্সি : ইলেকটোরাল ভোট ১৪। ডেমোক্র্যাটিক এই স্টেটে ৫৭.৯% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪১%।

১১. ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া : এই স্টেটে ইলেকটোরাল ভোট ৫। এই স্টেটে ৫৬.৯% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪১.২%।

১২. আলাবামা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৯। রিপাবলিকান এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার প্রাপ্ত ভোট ৫০.৬% এবং জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৮.৯%।

১৪. নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৯। ডেমোক্র্যাটদের এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন জো বাইডেন। জো বাইডেন পেয়েছেন ৫৮.৫% ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৯.২%।

১৫. সাউথ ক্যারোলিনা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৯। রিপাবলিকান এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার ভোটের সংখ্যা ৫২.৮%। অন্যদিকে জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৬%।

১৬. আরাকানসাস : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৬। রিপাবলিকান এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প ভোট পেয়েছেন ৬৭.৯% এবং জো বাইডেন পেয়েছেন ২৯.৬%।

১৭. সাউথ ডেকোটা : ইলেকটোরাল ভোট ৩। রিপাবলিকান এই স্টেটে ট্রাম্প ৬৯% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। বাইডেন পেয়েছেন ২৮.৭%।

১৮. ইলিনয় : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২০। ডেমোক্র্যাটিক এই স্টেটে ৫৬.৭% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪১.৩% ভোট।

১৯. নাব্রাঙ্কা : ইলেকটোরাল ভোট ৫। এই স্টেটে ৫১.২% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৫.৯% ভোট।

২০. নর্থ ডেকোটা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৩। রিপাবলিকান এই স্টেটে ৫৩.৫% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৩.৩% ভোট।

২১. লুইজিয়ানা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৮। এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার ভোটের সংখ্যা ৬১.৩% এবং জো বাইডেন পেয়েছেন ৩৭.৭%।

২২. কলারাডো : এই স্টেটে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৯। এই স্টেটে ৬১.৫% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৬.৫% ভোট।

২৩. নিউ মেক্সিকো : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫। এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫% ভোট। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৩.১%।

২৪. ক্যানসাস : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৬। রিপাবলিকান এই স্টেটে ৫৩% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৪.৫%।

২৫. উইমিং : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৩। রিপাবলিকান এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৭৮.৮%। জো বাইডেন পেয়েছেন ১৮.২%।

২৬. টেনেসি : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১১। রিপাবলিকান এই স্টেটে ৬০.৬% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৩৭.৬%।

২৭. মিসিসিপি : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৬। রিপাবলিকান এই স্টেটে ৫৭.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪০.৬%।

২৮. মিসৌরি : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০। রিপাবলিকান এই স্টেটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৫৯.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। জো বাইডেন পেয়েছেন ৩৮.৯% ভোট।

২৯. ক্যালিফোর্নিয়া : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৫। ডেমোক্র্যাটিক এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ৬৩.৮% ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৪.৪% ভোট।

৩০. ওয়াশিংটন : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১২। ডেমোক্র্যাটিক এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ৬১.৯% ভোট। ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৫.৮% ভোট।

৩১. ওরেগান : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৭। এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন জো বাইডেন। জো বাইডেন পেয়েছেন ৬৭.৬% এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ৩০% ভোট।

৩২. নিউ হ্যাম্পশায়ার : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৪। এই স্টেটে ৫৩.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৪.৯% ভোট।

৩৩. ইউটা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৬। এই স্টেটে ৫৫.৮% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪০% ভোট।

৩৪. ভার্জিনিয়া : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৩। এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন জো বাইডেন। তিনি পেয়েছেন ৫২.৫%। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫.৯% ভোট।

৩৫. ওহাইও : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৮। এই সুইং স্টেটে ২০১৬ সালের মতো এবারো জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৫৩.৩% ভোট। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৫.২%।

৩৬. আইদৌহা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৪। এই স্টেটে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৫৪.৫% ভোট। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪২.৭% ভোট।

৩৭. আইওয়া : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৬। এই স্টেটে ৫২.৮% ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৫.৩% ভোট।

৩৮. মিনেসোটা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০। এই স্টেটে ৫৫.১% ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৭.৮% ভোট।

৩৯. ফ্লোরিডা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৯। এই সুইং স্টেটে জয়লাভ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি পেয়েছেন ৫১.২% ভোট। ২০১৬ সালেও এই স্টেটে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। এই স্টেটে জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৭.৮% ভোট।

৪০. রোড আইল্যান্ড : এই স্টেটে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৪। এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন জো বাইডেন। জো বাইডেন পেয়েছেন ৫৮.৪% ভোট এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেয়েছেন ৪০% ভোট।

৪১. টেক্সাস : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৩৮। রিপাবলিকান এই স্টেটে জয়লাভ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫২.৩% এবং জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৬.২%।

৪২. মেইন : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৪। এখানে জয় পেয়েছেন বাইডেন।

৪৩. আলাস্কা : ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৩। এখানে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।

৪৪. উইসকনসিন : এই রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০। এখানে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন।